শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাকচিড়া ইউপি থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে পাথরঘাটার ইউএনও মো. হুমায়ূন কবির তদন্তে গেলে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
স্থানীয় আলম পহলান জানান, শুধু ভিজিএফের চাল ছাড়াও কাকচিড়া ইউপিতে যত ধরনের সহয়তা আসে তার সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি করে এ চেয়ারম্যান। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল।
ইউপি সদস্য সোনিয়া আক্তার বলেন, রাতে চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে জানান আপনি ৪০ জনের নামের তালিকা দেন সকালে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করবো। তখন কোনো মতে তাকে নামের তালিকা দেই। কিন্তু পরদিন সকাল ৭টায় পরিষদে এসে দেখি চাল বিতরণ করা শেষ।
ভিজিএফ চাল বিতরণে দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) রনজিৎ মিস্ত্রী বলেন, চাল বিতরণের কোনো খবর আমার জানা নেই। যেখানে চাল বিতরণের একদিন আগে আমাকে পরিষদ থেকে অবহিত করার কথা। সেখানে আমাকে না জানিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ হয়েছে, যা অনিয়ম।
পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু চাল বিতরণে অনিয়ম করেছে। বরাদ্দকৃত ৪৪ মেট্রিকটন চালের মধ্যে সাড়ে ১৬ মেট্রিক চাল বিতরণের সঠিক প্রমাণ দিতে পেরেছেন। বাকি সাড়ে ২৭ মেট্রিকটন চাল বিতরণের কোনো সঠিক প্রমাণ দিতে পারেনি।